নিজেকে ঈশ্বরের হাতে সমর্পণ কর
4
তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ কোথা থেকে আসে তা কি তোমরা জান? তোমাদের দেহের মধ্যে যে সব স্বার্থপর লালসা যুদ্ধ করছে, সেই সবের মধ্য থেকেই আসে৷ তোমরা কিছু চাও কিন্তু তা পাও না, তখন খুন কর ও অপরকে হিংসা কর৷ কিন্তু তবুও তা পেতে পারো না, তাই তোমরা ঝগড়া কর, মারামারি কর৷ তোমরা যা চাও, তা পাও না, কারণ তোমরা ঈশ্বরের কাছে চাও না৷ অথবা চাইলেও পাও না কারণ তোমরা অসত্ উদ্দেশ্য নিয়ে চাও৷ তোমরা কেবল নিজেদের ভোগ বিলাসে ব্যবহারের জন্য জিনিস চাও৷
সুতরাং তোমরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত নও৷ তোমাদের জানা উচিত যে জাগতিক বস্তুগুলিকে ভালবাসার অর্থ হল ঈশ্বরকে ঘৃণা করা৷ তাই যে কেউ জগতের বন্ধু হতে চায় সে ঈশ্বরের শত্রু হয়ে ওঠে৷ তোমরা কি মনে কর যে শাস্ত্রের এইসব কথা অর্থহীন? শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর যে আত্মাকে আমাদের অন্তরে বাস করতে দিয়েছেন, তা চায় যেন আমরা শুধু তাঁরই হই৷”* কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহদান তার থেকেও বড় বিষয়৷ তাই শাস্ত্রে লেখা আছে: “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু যাঁরা নম্র তিনি তাদের অনুগ্রহ প্রদান করেন৷”
তাই তোমরা নিজেদের ঈশ্বরের কাছে সঁপে দাও৷ দিয়াবলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, তাহলে সে তোমাদের ছেড়ে পালিয়ে যাবে৷ তোমরা ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হবেন৷ পাপীরা, তোমাদের জীবন থেকে পাপ দূর করো৷ তোমরা একই সাথে ঈশ্বরের ও জগতের সেবা করতে চেষ্টা করছ৷ তোমাদের অন্তঃকরণ পবিত্র কর৷ তোমরা শোক কর, দুঃখে ভেঙ্গে পড় ও কাঁদ, তোমাদের হাসি কান্নায় পরিণত হোক্্, আর আনন্দ, বিষাদে পরিণত হোক্্৷ 10 তোমরা প্রভুর সামনে নত হও, তাহলে তিনি তোমাদের উন্নীত করবেন৷
বিচার কোরো না
11 ভাই ও বোনেরা, তোমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে নিন্দা করা বন্ধ কর৷ যদি কেউ তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে অথবা তার ভাইয়ের বিচার করে, সে বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই কথা বলে এবং ব্যবস্থার বিচার করে৷ যদি তুমি বিধি-ব্যবস্থার বিচার কর, তাহলে তুমি আর তার পালনকারী হলে না বরং বিধি-ব্যবস্থার বিচারক হলে৷ 12 একমাত্র ঈশ্বরই বিধি-ব্যবস্থা দিতে পারেন ও বিচার করতে পারেন৷ একমাত্র তিনিই বিচারকর্তা, কেবল তিনিই আমাদের রক্ষা করতে বা বিনষ্ট করতে পারেন৷ তাই অন্য কারুরই বিচার করা তোমার অধিকারে নেই৷
তোমার জীবনের পরিকল্পনা ঈশ্বরের হাতে দাও
13 তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, “আজ বা কাল আমরা এমন শহরে যাব, যেখানে গিয়ে এক বছর থাকব আর ব্যবসা করে লাভ করব৷” 14 একটু ভেবে দেখ, কাল কি হবে তা তুমি জান না৷ তোমাদের প্রাণ তো কুয়াশার মতো, ক্ষণকালের জন্য তা দৃষ্টিগোচর হয়, তারপর উবে যায়৷ 15 তাই তোমাদের বলা উচিত, “প্রভুর ইচ্ছা হলে, আমরা বেঁচে থাকব আর এটা ওটা করব৷” 16 কিন্তু এখন তোমরা নিজেদের বিষয়ে নিজেরাই অহঙ্কার ও দর্প করছ; আর এই প্রকারের সব অহঙ্কার অন্যায়৷ 17 মনে রেখো, যে সৎ‌ কর্ম করতে জানে অথচ তা না করে, সে পাপ করে৷
* 4:5 “ঈশ্বর … হই” দ্রষ্টব্য যাত্রা 20:5 4:6 উদ্ধৃতি হিতো 3:34